হাতির চাঁদাবাজি
হাতির চাঁদাবাজি বলতে এখানে বুঝিয়েছি যে, আমরা দেখে থাকি বিভিন্ন দোকানে হাতি জোরপূর্বক টাকা নিয়ে থাকে। এটা শহরে খুব কমই হয়ে থাকি কিন্তু গ্রামের দোকানপাটে অনেক হয়ে থাকে। আমি নিজেও এটি প্রত্যক্ষ করেছি। শহরে যেমন বাসে, ট্রেনে, রাস্তায়, সর্বত্র হিজড়া ,ভিক্ষুকদের প্রকট দেখা যায়, ঠিক তেমনি গ্রামে হাতির চাঁদাবাজি দেখা যায়।চাঁদাবাজি বলতে পারি কিনা ঠিক নেই ,তবে হাতিগুলো খুবই জোরপূর্বক দোকান থেকে টাকা নিয়ে থাকে। হাতিগুলোকে এভাবেই শেখানো হয়ে থাকে। হাতি গুলো তাদের সুলটা ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়, এরপর সেই সুল দিয়ে যেকোনো জিনিস নেয়ার চেষ্টা করে এবং ভয় দেখায়। সব মিলে দোকানে যারা থাকি সে সময় তারা ভয় পেয়ে যায়। এসব হাতি পোষ মানা হয়ে থাকে।
এসব হাতি দেখে বাচ্চারা অনেক আনন্দিত হয়।এই উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পারছেন ,একটি বিশাল হাতি যাচ্ছে ,তার পিছনে বাচ্চারা ছোটাছুটি করতেছে। বাচ্চারা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম চলে যাচ্ছে এই হাতির পিছনে। আমার এক ভাতিজা ও এই কাজ করেছে এই হাতির সাথে, সে এই হাতির সাথে প্রায় তিন চার কিলোমিটার হাঁটে পড়ে হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা, তবে অবশেষে তাকে খুজে পাওয়া গেছিল।
হাতিটি তো সব সময় টাকা নিতে পারেনা ,পরে তাকে গ্রামে এসে এক জায়গায় বেঁধে রাখা হয়, যাতে সেখানে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। কলাপাতা এবং কলাগাছ হাতির অনেক প্রিয় খাবার। আমাদের গ্রামে হাতিটিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল প্রায় দুই ঘণ্টা। সেসময় হাতিটির জন্য কলাগাছের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।.
হাতিটি কিন্তু একবারে বিশাল। যদিও এর চেয়ে বড় হাতি হয়ে থাকে। এটার বয়স একটু কম ছিল, যার ফলে এটি ছোট ছিল।
উপরের দুইজন লোক মিলে হাতিটিকে খাওয়াচ্ছে। এই লোকটি হাতিটির মালিক এবং পোষে।
গ্রামে প্রতিটি বিষয়ই খুবই আনন্দের সাথে দেখা হয়। গ্রামে হাতিটিকে বেঁধে রাখা হয়, গ্রামের মানুষরা হাতিটিকে দেখার জন্য জড়ো হয়। সত্যি বলতে তাদের মধ্যে আনন্দ কাজ করে। আমিও গিয়েছিলাম হাতির সাথে ছবি তুলতে । দেখুন লোক গুলো কিভাবে বসে আছে হাতিটির চারিদিকে।মূলত ঢাকায় চিড়িয়াখানা গেলে আমরা এগুলো দেখতে পারি কিন্তু গ্রামের মানুষরা পায়না,যদিও গ্রামে যারা দোকানপাটে যায় তারা দেখতে পায় হাতির চাঁদাবাজির সময়। এখানেই প্রায় দুই ঘণ্টা হাতিটিকে বেঁধে রাখা হয়েছিলহাতিটি কলাগাছ খেয়েছিল।
হাতিটি অনেক বিশাল ছিল দেখলেই ভয় লাগে। হাতির মালিকের কাজ ই এটা, প্রতিদিন বিভিন্ন দোকানে যাবে টাকা তুলবে। একপ্রকার লোকেরা ভয় পেয়েই দিয়ে থাকে।
আরেকটি বিষয় এই হাতিটি সিলেটি হিন্দু হাতি। সবাই বলতে ছিল , কিন্তু হিন্দু হাতি আমি এটা বিশ্বাস করতে ছিলাম না। হাতির আবার ধর্ম হয় কিভাবে। কিন্তু হাতিটির কাছে গিয়ে দেখি হিন্দুদের আলপনা হাতিটির চেহারায় তারা একে রেখেছে। সবদিক মিলিয়ে বুঝলাম এটি তাহলে হিন্দু হাতি।
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি আপনারা সকলে আমার ব্লগটি পড়বেন। অনেকে বিষয় গুলোর সাথে অবগত কিন্তু আবার অনেকেই এগুলোর সাথে অবগত নয়। তাই আমি এসব ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরি,যাতে সকলেই এ বিষয়টা জানতে পারি।
আজ এ পর্যন্তই ধন্যবাদ সবাইকে ।
Hi @minhaz007, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Congratulations @minhaz007! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 39000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!