যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই।
উহু, ব্যথা!!
শরীরের হাড় হাড্ডি, মাংস পেশী সবই ব্যথা করতেছে। কেউ যদি উপরে উঠে একটু খোঁচা খুচি করতো তাহলে সেই সুখ অনুভব করতাম। প্রতিটা খোঁচায় এক একটা শান্তির বার্তা খুঁজে পেতাম।
লোভনীয় অফার দিয়ে বাড়ির পিচ্চিটাকে বললাম একটু উপরে উঠে পা দিয়ে খোঁচে দে। একটুও পাত্তা দিল না। এখন অবশ্য এইসব লোভ দিয়ে লাভ হয় না। চকলেট ফকলেট দিয়ে অনেক কাম হাতিয়ে নিয়েছি। এখন কি আর এসবের দিন আছে?
আগে যখন আমরা ছোট ছিলাম সেই সময়টা কেমন ছিল। আমরা কত বোকা ছিলাম। আমাদের এক টাকা দামের একটা করে চুইংগাম দিয়েই চাচাতো বড় ভাই একটা ট্রাক পুরা আনলোড করে নিত। ভাই কীটনাশকের ডিলার। ওনারেই গাড়িতে ওষুধের কাটুন আসতো। ও আচ্ছা শরীরের ব্যথা নিয়ে বলছিলাম।
অনেকদিন পর খেলতে নেমেছিলাম। তিন দিন ধরে খেলছি। মাঠে খেলা দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। একটা সময় ছিল কোন ভাবে স্কুলের ব্যাগ রাখে যত দ্রুত পারা যায় ফ্রেশ হয়ে কোনমতে খাওয়া করেই মাঠে দৌর দিতাম। এখন আর সময় হয় না। তারপরেও সেইদিন খেলা দেখে লোভ সামলাতে পারি নিই।
সেদিন থেকে আর মিস করি নিই একটানা চতুর্থ দিনের মত চলছে। তবে হঠাৎ করেই খেলা শুরু করতে গিয়ে শরীরে ব্যথা। ত্যাগেই নাকি প্রকৃত সুখ। কিন্তু সব থেকে যন্ত্রণা যখন শান্তির খোঁজে ওয়াশ রুমে গিয়ে ত্যাগ করতে যাই। বসতে তো আর পারি না, বসতে পারলেও থাকতে পারি না। আহা কি যে যন্ত্রণা।
তবে যত ব্যথা হোক না কেন এই ব্যথা আর দুটা দিন থাকবে। কিন্তু খেলাধুলা করলে মাইন্ড একেবারে ফ্রেশ। জায়গায় বে জায়গায় যে মেদ জমেছে সেগুলোর ও একটা বিহিত হবে। আর থাকলো রাতের ঘুম। যেখানে রাত দুটা তিনটা বাজলেও চোখে ঘুম নেই সেখানে রাত বারোটা বাজতে না বাজতেই ঘুমে টলমল করে চোখ।
না ভালোই লাগছে খেলতে। আর ছোট ভাই গুলো দারুন খেলা শিখেছে। যেই সময় ঐ বয়সের ছেলে গুলো ফ্রি ফায়ার গেম খেলে গেলে চোখ দুটো অকালেই নষ্ট করছে সেখানে তারা দুই পায়ে জমিনে ঠেলা মেরে শূন্যে দাঁড়িয়ে চাপ মেরে মাঠ কাঁপাচ্ছে।
আসলেই আমরা এখন আমাদের ছোট ভাই বোনদের মাঠে খেলতে পাঠাই না। কাঁধে দশ মন ওজনের একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে দিয়ে কখনো স্কুল তো এখনো কোচিং আবার কখনো একটা প্রাইভেট শেষ হতে না হতেই আরেকটা প্রাইভেট। এভাবেই তারা শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরছে। ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পরেছে, লাইকির মত সাইট গুলো বানাচ্ছে একটা প্রতিবন্ধী প্রজন্ম। ঝুঁকে পরছে বিভিন্ন ধরণের নেশায়।
আমাদের ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা করার সুযোগ দেওয়া উচিত। মাঠ তৈরী করে দেওয়া উচিত সব জায়গায়। মাঠের অভাবে এখন অনেকেই অসামাজিক কমর্কান্ডে ঢুকে পরছে। কিশোর গ্যাং তৈরী করছে পাড়া মহল্লায়। করছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। চুরী, ছিনতাই থেকে শুরু করে মারামারি, খুনোখুনি।
আমাদের প্রজন্মকে আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। সকল ধরনের মাদকাসক্ত থেকে দূরে রাখতে হবে। যে হারে তরুন প্রজন্ম মাদকের পিছনে ছুটছে তাতে ভবিষ্যত খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমাদের উচিত এইদিকে নজর দেওয়া। পারিবারিক ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
Source
ছবিটি ২০১৩ সালের। ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করলাম। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ২৬শে মার্চে মাঠে খেলা শুরু হওয়ার আগে তুলেছিলাম।
Hi @steemitwork, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON