ডাক্তারের বিলাসিতা নাকি ডাক্তাররা বলি কা বাখরা ?
আজকে মন খুলে বাজার করতে চেয়েচিলাম। এক কোটি টাকা দিয়ে একটা ইলিশ মাছ কিনলাম। মাশাল্লাহ ইলিশ মাছ দেখতে বড়ই সুন্দর হয়েছে। সাথে কিছু হাজার ৫০ দিয়ে শোল মাখুথ সহ দেশি কিছু মাছ নিলাম। সাথে গরুর মাংস খেতে ইচ্ছে করলো, দোকানী দুই কেজির দাম চাইলো দুই কোটি টাকা।
শুনে একটু ঝাটকা লাগলো। বললাম, উঁহু দুই কেজি দেড় কোটি টাকা দেবো। দেবেন?
দিয়ে দিলো হারামিটা।
ইলিশ মাছ হলো, দেশি কিছু মাছ হলো, হলো গরুর মাংসও, ভাবলাম এই সময় খিচুড়ি খেলে ভালোই হয়। তাহলে খিচুড়ি খেতে বাধা কোথায়? আকাশে বৃষ্টির ভাবও আছে, খিচুড়ি জমবে ভালো।
যেই ভাবা ব্যাস অমনি এক কোটি টাকা দিয়ে ডাল-চাল, খিচুড়ি খেতে আর যা যা লাগে সব কিনে ফেললাম।
লেবু কিনলাম, সাথে এক পাল্লা শসা। দাম চাইলো বিশ লাখ। কথা না বাড়িয়ে দিয়ে দিলাম। সালাত তো খেতেই হবে।
এমনিতেই পকেটের টান। অপচয় হবে ভেবে চিংড়ি মাছ কিনলাম না। দরকার কি একদিনে অতটাকা খরচ করে। অপচয় মোটেও ভালো জিনিস না। হাদিসে আছে অপচয়কারী শয়তানের ভাই। একছন মুসলিম হিসেবে হাদিসটা মানা খুব জরুরী।
রিক্সাভর্তি বাজার নিয়ে ফিরতে ফিরতে ভাবছি জিনিসপত্রের যা দাম তাতে উগান্ডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাত্র দশ কোটি টাকা দিয়ে কিভাবে আপ্যায়ন খরচ চালান! সম্ভবত খুব হিমশিম খেতে হয় উনার। দেখা গেলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মেহমান গেলো রঙ চা আর তক্তা বা গোল গোল মেরী বিস্কুট বা প্লেইন টোস্ট ছাড়া আর কিছু দেওয়ার উপায়ই থাকেনা। সেই চা থাকে আবার হাফ কাপ। কি করবেন বাজারে যা দাম।
আহা! কি নির্মম! মেনে নেওয়ার মত না। ঢাকা মেডিকেলের করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারদের কথা ভেবে তো মায়াই লাগলো। চোখ থেকে জল খসা খসা অবস্তা। মাসে মাত্র বিশ কোটি টাকা দিয়ে উনারা আর কিই বা খেতে পারেন? বড় জোর আলুভর্তা আর ডাল! মাঝেমাঝে একবেলায় অর্ধেকটা ফার্মের সেদ্ধ ডিম হয়তো।
মনে মনে ভাবছিলাম বেচারদের বাসায় খিচুড়ি পাঠিয়ে দিতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না।
এই জগৎ টা কতটাই না নিষ্ঠুর। কত ইচ্ছেই না অপূর্ণ থেকে যায় 😢
সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার খাবার মেনু 😃
বিস্তারিত দেখতে নিচের নিউজের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।
News Link
দূর্নীতি যে কিভাবে দেশটাকে খেয়ে ফেলতেছে। তবুও অদ্ভুত ভাবে দেশটা টিকে আছে এখনো...
দেশটা চাপার উপরে আছে। ভিতরে খোকলা হয়ে গেছে। জনগণ শান্তিতে নেই।
আবার জিগায়। দেশটা উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। ভিতরে ফাঁপা। শুধুই বেলুন ভর্তি বাতাশ। যে কোন সময় ফুটে যেতে পারে।
আমাদেরকে মুলা দেখিয়ে, অন্যরা পকেট গরম করে নিচ্ছে । বলির পাঠা হয়ে গেছি ভাই, খালি দেখছি আর মুখ বুঝে সহ্য করছি।
মুখ বুঝে সহ্য করেই তো আজ এই অবস্থা। জবাবদিহিতার আর প্রতিবাদেরহীনতা আমাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
কেন আমরা পরি না এইসবের প্রতিবাদ করতে।
এই প্রতিবাদ করার আমরা মানুষটাই যে অনেক নগণ্য এটাই হচ্ছে সমস্যা
সমস্যা এখানেই। আমরা নিজেকে নগন্য মনে করি। অথচ নগন্য তাদের ভাবা উচিত ছিল।
কবির ভাষায় বলতে হয় -
ছোট ছোট বালু কনা
বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ
সাগর অতল।।
well said
ধন্যবাদ ভাই।
নিচের গানটা আপনার জন্য ভাই
চোখে চোখ রেখে যুদ্ধে যাবো সেই বাধনের মতো।
খামচে ধরবো অধিকার।
কি অসাধারণ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর এই গানটি দেওয়ার জন্য।
আপনি কেবল যা করতে পারেন তা করতে পারেন
Yes, of course.
Very insightful post. Thanks for sharing
Wc bro