ব্যস্ত জীবনে মজার খাবার আমায় দেয় প্রশান্তি😌❤️

শহুরে জীবনটা আসলেই ব্যস্ততার সাথে কাটাতে হয় এতে কোনো ভুল তথ্য নেই। বিগত কয়েকমাস আমি সাধারণের তুলনায় একটু বেশি ব্যস্ত ছিলাম। ব্যস্ততার হাত থেকে বাঁচতে আমার ছোট বোনকে নিয়ে বের হলাম একটু ঘুরতে। আমার বোনটার ও পড়ালেখার অনেক চাপ। তাই ভাবলাম কেননা দুই বোন একটু কোয়ালিটি সময় কাটাই।বাসা থেকে বের হয়েই রিকশায় করে চলে গেলাম মিরপুর দশ নম্বর। মিরপুর এলাকার সবাই কে জানে দশ নম্বর স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত।

এছাড়া সেখানে কম দামে ভালোই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। দুই বোন মিলে একটু ঘুরে ফিরে চলে গেলাম ছোট ফুচকা খেতে। যেহেতু আমার বড় হয়ে ওঠাটা এই এলাকাতেই এবং আমার স্কুলের সামনেই স্ট্রিট ফুডের দোকান, তাই সব ফুচকা মামারা আমার পরিচিত। যেতেনা যেতেই মামারা বলে উঠলো মামা অনেকদিন পর এদিকে আসলেন, কথাটা শুনে আসলেই মনে হচ্ছিলো কতদিন স্ট্রিট ফুড খাওয়া হয়না। দুই বাটি ছোট ফুচ্কা অর্ডার দিলাম। প্রতি বাটি বিশ টাকা করে। আমি কোনো রিভিউ দিচ্ছিনা কিন্তু আবার না বলেও পারছিনা। আমি ঝাল খেতে পছন্দ করি তাই বোম্বাই মরিচ দেয়ার কথাটা বলতে আর ভুলিনি।

এরপর আমরা দুই বোন হাটতে হাটতে চলে গেলাম এক নম্বর আড়ং এ। গিয়ে কিছু কেনা কাটা করলাম। আড়ং আমার ছোট বেলা থেকেই পছন্দের জায়গা। কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে আড়ং থেকে জামা না কিনলে উৎসব আর উৎসব মনে হয়না। আমার বোন একটা জামা কিনলো আর আমি একটা ফতুয়া। এরপর আমরা রিকশা নিয়ে চলে অরজিনাল দশ নম্বর।

এসেই চোখে পড়লো খানাস। অনেকদিন খানাসরে কোল্ড কফিটা খাওয়া হয়না। নিজের আত্মাকে আর সামলাতে পারলাম না। খানাসে গিয়েই অর্ডার করলাম, ওয়েজেস, চিকেন উইংস আর কোল্ড কফি। খানাসের কোল্ড কফি আমার সবচেয়ে প্রিয়, কিন্তু মানুষ বলে খানাসের থেকে চা টাইম এর কফি মজা। কিন্তু আমার কাছে কেন যেন খানাস বেশি মজা লাগে। যাইহোক দুই বোন মিলে বেশ ভালোই সময় কাটালাম…

বাসায় আসার সময় মনে হলো আমরা যেহেতু এতো কিছু খেয়েছি, বাসার বাকি সদস্যদের জন্য কিছু নিয়ে যাওয়া উচিত। আমার মা ডোমিনোসের চিকেন উইংসটা অনেক পছন্দ করেন। তাই বাসার জন্য একটা রেগুলার পিজা আর উইংস কিনে নিয়ে এলাম। খাবার খেলে আমার মন সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়. মাঝে মাঝে ভাবি আমি একটা ইউটুবে চ্যানেল খুলতেই পারি। আমাকে অবস্যই জানাবেন আপনাদের কেমন সময় কাটছে।