ব্যক্তি স্বাধীনতা
পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। কেউ কারো অধিনে গোলামি করে বেঁচে থাকতে চায়না। নিজের পায়ে দাড়াতে চায়, সবাই বড় হতে চায়। কিন্ত সহজ এই পৃথিবীকে মানুষ নিজেরাই কঠিন আর অমানবিক করে তুলছে। কঠিন বলতে এতোটাই কঠিন করে তুলছে যে মনুষ্যত্ব জিনিসটা এখন খুজে পাওয়া দূস্কর। স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক ও প্রাকৃতিক অধিকার। আমি পাখি নই। আমি বাসা বানিয়ে নেবার ফাঁদেও পড়তে চাই না। আমি মুক্তচিন্তা এবং ইচ্ছার সাথে বেড়ে ওঠা একজন স্বাধীন মানুষ।
আপনি আপনার লাইব্রেরির দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু একটি মুক্ত স্বাধীন মনের কোন গেট থাকে না, কোন তালা থাকে না, কোন সীমানা থাকে না।___ভারজেনিয়া উলফ
আমরা নিজের মতো করে এগিয়ে যেতে চাই। যখনি নিজের ইচ্ছা, নিজের স্বাধীনতা কারো কাছে জিম্মি থাকে, তখন আমাদের ভিতরে আমিত্ব দিনদিন নষ্ট হতে থাকে। একজন সুস্থ এবং বুদ্ধিমান মানুষ হতে গেলে অবশ্যই ব্যাক্তি স্বাধিনতা থাকতে হবে।
স্বাধীনতা মানুষের মনের একটি খোলা জানালা বলা যায়, যেদিক দিয়ে যেমন আলো বাতাস প্রবেশ করবে, তেমনি নিজের আত্বা ও মানবমর্যাদার আলো প্রবেশ করে। ব্যক্তি স্বাধিনতা ব্যতিত জীবন হলো আত্বা ছাড়া শরীর। সুতরাং, জন্মেছি স্বাধীন হয়েই, বাচঁবো স্বাধীনভাবেই। আমরা প্রতিহিংসা চাইনা, স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আর এজন্য সরকারকে আরও বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। এদেশ স্বাধীন দেশ। সবার স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আমরা ব্যক্তিস্বাধিনতার পাশাপাশি বাকস্বাধীনতাও চাই। যেটা আজ সবার থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মুখ খুলে মনের দুটো কথা বলা যেখানে অপরাধ, সেই কালো ছায়া উপেক্ষা করে নিজের ভাষায়, নিজের ইচ্ছায় কথা বলা এবং বেঁচে থাকা আমাদের একমাত্র চাওয়া।
জনগনকে নিয়েই যদি সরকার হয়, তাহলে অবশ্যই জনগণ সবকিছুর উর্ধ্বে। অথচ আজকাল জনগনকে শুধুমাত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, কারোর নিজস্ব বাকস্বাধীনতা নেই। বড়লোকদের অমানবিক চাপাচাপিতে আজ মধ্যবিত্তরা চাপা পড়ে যাচ্ছে, রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা মানুষের স্বাধিনতার অভাব হয়না, হয় শুধু সাধারণ জনগনের।
আজ কোনো চাকুরী নিতে গেলে চাচা, মামা, খালু ব্যতিত চাকুরির স্বাদ পাওয়া মুশকিল। অথচ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভদ্রতা, এমনকি অভিজ্ঞতা থেকেও কোনো লাব হয়না। যাই হোক, ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে অনেক কিছুই বলে ফেললাম, ভুলকিছু বলে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবশেষে শুধু এটাই বলবো, আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, স্বাধিনভাবে বেঁচে থাকা এবং জীবনমানের উন্নয়ন ঘটুক, এই আমাদের প্রত্যাশা। ধন্যবাদ
অদ্ভুত এক অবস্থা বিরাজমান। সামনে কী আছে, কিছুই জানি না। তবুও বেঁচে থাকা...
হ্যা ভাই। তবে অদ্ভুত এই অবস্থা সম্পর্কে সবাইকে আগে জানতে হবে। অন্ধকার ছায়ায় পরে থাকলে হবে না। চোখ কান খোলা রেখেই, সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এভাবে তো বেঁচে থাকা যায়না ভাই।
Your words were very reasonable, but there is nothing to do, brother. Nowadays, everything seems to be empty 😞