ওস্তাদে পকেট মারতে মানা করছে

avatar

হরমোনের ঠেলায় লাঘামহীন বাচ্চা পয়দা করা জাতি আমরা। দো'জাহানের কামিয়াবি হাসিল করার জন্য হলেও প্রচ্চুর বাচ্চা পয়দা করতে হবে। কলিমুদ্দিও জাতে খাঁটি বাঙ্গালী। হরমোনের ঠেলায় সখিনার গর্বে বছর পুরাতেই একটা একটা করে দশটা বাচ্চা পয়দা করেছে। ফ্যাক্টরিতে ওভারটাইম ও কাজ করেছে না হলে কি এতোগুলো পয়দা করতে পারে? কাভী নেহি।

অভাব অনটনের সংসারে দশটারে সামাল দেওয়া তো চাট্টিখানি কথা না। একে একে পয়দা করে ছেড়ে দিয়েছে যা বাবা করে ধরে খা। সব গুলোই ফাত্রামী শুরু খরেছে। সবার ছোট ছেলেটা নাম জসিম। সবার ছোট্ট হলেও সবার থেকে আগায় আছে জসিম। শহরে গিয়া কোন এক পকেট মারের পাল্লায় পরছে। চোরে চোরের নাকি মাসতুতো ভাই। দুজনের এক্কে বারে ফেভিকলের মত লাগে গেছে। ভুল পকেট মারের পারের সাথে সাথে জসিমও দক্ষ পকেটমার হয়ে গেছে।

রেল স্টেশনে হঠাৎ লোক জনের জোটলা। হইচই হট্টগোল। মারো সালারে বইলা এক দল লোকের এলোপাথারি লাথি চলছে। ভলু ভির ঠেলে দেখে জসিম। কার যেন পকেট কাটতে যাইয়া ব্লেড দিয়ে একজনের দ্বিখন্ডিত নিতম্বে রক্তারক্তি করে দিয়েছে।

ভলু দুচারটা কিল ঘুষি মারে সেইখান থেকে বার করতে গেলেই ভীর থেকে একজন বলে উঠলো দুজন একই দলের লোক। দুজন মিলেই এই কাজ করে। আমি দুজনকে কিছুক্ষন আগেই ক্যান্টিনে চা খাইতে দেখছি। বাস পাবলিকরে আর কে পায়। অতঃপর পুলিশের হাতে শর্পদ করলো আধামরা ভলু আর জসিমকে। অনেকদিন জেলের মধ্যে থেকে ভলু নামাজ কালাম পরতে পরতে সে এখন হেদায়েতের পথে। শপথ করছে সে আর কখনো এইসব পকেটমারী করবে না।

দুজনেই জেল হতে মুক্তি পেয়ে যায়। ভুল এখন ভালো হয়ে গেছে। ভলু জসিমকেও পকেটমারী করতে নিষেধ করেছে। তাছাড়া পকেট মারতে গিয়ে জসিম আবার মানুষের বিচি কেটে দিয়ে ধরাও পরে। কিন্তু জসিম তাহলে চলবে কি করে। আবার এদিক ওস্তাদ নিষেধ করেছে সেটাও মানতে হবে। তাই সে এখন আর পকেট মারে না। সে এখন কাটা রাইফেলের ব্যবসা করে। সে একটা ছোট খাটো গ্যাং এর সাথেও জড়িত ছিল। ধরা না পারলে এতোদিনে শীর্ষ সন্ত্রাসীর লিস্টে নাম থাকতো। আবার সে সেই গ্যাং এর সাথে জড়িয়ে পরে।

ওস্তাদে পকেটমারতে মানা করছে কিন্তু মার্ডার করতে তো মানা করে নাই। এখন সে সরকার দলীয় এমপির ক্যাডার বাহিনীতে আছে। যখন যারে ইচ্ছা সাইজ করতে জসিমের ডাক আসে। জিভের কাজ হইতেছে এমপি সাহেফের পথের কাটা গুলোরে জাহান্নামে পাঠানো। প্রতিটা প্রতিটা খুনের পর বলে ওস্তাদে পকেট মারতে মানা করছে খুন তো করতে মানা করে নাই। এমপির হয়ে একটা কাজ আনজাম দিলে বহুত টাকা। ঐ টাকা দিয়েই নেশা পানির খরচা, বেশ্যাপাড়ার মনোরঞ্জন সহ সব কিছুই হয়ে যায় জসিমের।

images (8).jpeg

Source



0
0
0.000
0 comments