কল্পনায় সাজানো ভালোবাসা

avatar

জোছনার আলো কার না ভালো লাগে। উন্মুক্ত আকাশে থালার মত পূর্ণিমার চাঁদ দেখে কার না প্রেমের শিহরণ জাগে?

প্রেমিকাহীন পুরুষ অথবা প্রেমিকহীন নারী উদাস মনে চেয়ে থাকে। ফেলে আসা স্মৃতি গুলো সেই পূর্নিমার চাঁদে স্পষ্ট দেখতে থাকে যেমনটা দেখা যেত চাঁদের বুড়িকে।

আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে এইসব ভাবছিল তানিয়া। ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো তানিয়ার। নিয়নের ফোন পেয়ে খুশি হল। এতোক্ষন তাকেই মিস করছিল তানিয়া।

ফোন রিসিভ করতেই আসসালামু আলাইকুম। তানিয়া, ওয়ালাইকুম আসসালাম। তার দুজনেই কথা শুরু করার আগেই সালাম বিনিময় করে। দেখছো আকাশের চাঁদ টা কত সুন্দর দেখাচ্ছে। কিভাবে আলো ছড়াচ্ছে। আমি ছাদে বসে চাঁদটা দেখছিলাম আর তোমাকে খুব মিস করছিলাম। তুমি যদি পাশে থাকতে।

ফোনের ওপাশ থেকে নিয়ন বলে বলে উঠলো আমিও পুকুর ধারে বসে চাদ দেখছিলাম আর তোমাকে খুব মিস করছিলাম। শেষে আর না পেরেই তোমাকে ভয়ে ভয়ে ফোন দিচ্ছিলাম যদি ফোনটা তোভার আম্মুর কাছে থাকে তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে।

কি ভাবছিলে তুমি আমাকে নিয়ে? ভাবছিলাম এমন পূর্নিমার আলোয় তুমি আমি পুকুর ধারে বসবো। এক সাগর নয় তবে এক বিশাল পুকুর ভালোবাসা বিনিময় করবো।

জোছনার আলোয় তোমার মুখ মন্ডলে পরলে সৌন্দর্য নিশ্চিত কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তাই বলে আবার ভাব দেখাবে না বলে দিচ্ছি।

সুন্দর চাঁদ দেখে আবার আমাকে বলিও না নারিকেল গাছে উঠে চাঁদটা নামিয়ে দিতে। সুন্দর কিছু দেখলে তুমি আবার লোভ সামলাতে পারবে না আমি জানি। যেমনটা আমাকে দেখে তুমি লোভ সামলাতে পারো নিই।

পুকুর পাড়ে বসে আমরা চাঁদের আয়তন মাপবো। তবে তুমি বেঈমানী করবে না কিন্তু, একেবারে বলে দিচ্ছি, ঠিকাচ্ছে?

পুকুরে মাছ লাফ্ফালাফ্ফি করবে। দূর আকাশে তারার ঝিলমিল নিচে জমিনে জোনাকির উঁকিঝুঁকি তুমি আমার কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে উপভোগ করবে।

এইসব কথা বলতে বলতে কখন যে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে বুঝতেই পারে নিই দুজন। ফোনের ব্যালেন্স শেষ না হলে তো তাও বুঝতে পারতো না।

এরেই মধ্যে ডিনার করার জন্য তানিয়ার ডাক আসে। আর নিয়ন পুকুর পারে বসে তানিয়ার কথায় ভাবছে। পারে বসে ঘাসের কচি কচি পাতা গুলো ছিড়ছে আর ভাবছে কিভাবে তার ভালোবাসার চুড়ান্ত প্রাপ্তির দিকে আগাবে। আবার ভাবছে অর্থনৈতিক বাধাটাই হয়তো তার আর তানিয়ার মধ্যে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তানিয়াকে বাবা বিশাল অর্থবিত্তের মালিক। তাদের পূর্ব পুরুষেরা জমিদার ছিল। গ্রামের মাতব্বর বলা যায়। গ্রামের কোন বিষয় সমস্যা হলে সবাই ওনার কাছেই ছুটে যায়। ন্যায় পরায়ন ও সঠিক বিচার করে বলেই গ্রামের সবাই আস্থা পায়। তবে লোক ভালো হলেও বংশের একটা অহংকার বোধ থেকে নিয়ন
কে একমাত্র মেয়ের জামাই হিসেবে কখনো মানে নিবে না। নিয়ন মাঝে মধ্যেই এসব ভাবতে ভাবতে তার ভালোবাসা তানিয়াকে হারানোর ভয়ে পাগলের মত আচারণ করতে থাকে। নিয়ন ভালো করেই জানে সে বামন হয়ে চাঁদে হাত দিয়েছে।

FB_IMG_1620042948243.jpg
Source



0
0
0.000
2 comments
avatar

জীবনে প্রেম নিয়ে কিছুই লিখতে পারলাম না আজ অবধি ভাই। এতো প্রেম কেমনে যে আসে আপনার মাঝে, আমাকে একটু ধার দিয়েনতো।

0
0
0.000
avatar

ভাই আমাদের ভাঙ্গা চূড়া আর ঠেকা সারা লেখা। আপনি যা লেখেন অনেক ভালো লেখেন। আর এইসব কথা প্রেম দেওয়া যাইবো কিন্তু প্রেম ধার না।

0
0
0.000