Bdcommunity-তে প্রথম লেখা
আগমণী ঢেঁড়া প্রথমবার পিটিয়েই যা নতুনত্ব, এরপর বাজলে ওতে আনন্দ নেই। introduceyourself-এ যেহেতু পোস্ট করে ফেলেছি একবার, এখানে আর পরিচিতি দিচ্ছিনে নতুন করে। তবু ফের আবির্ভাবেও অথিতিরা মুখে দুটো মিঠে কথা কয় মানি আর আপনার ঢোল অন্যের হাতে দিলে ফাটিয়ে ফেলে শুনি ইদানিং। তাই এই হালকা ভূমিকা।
আমি আপনারই প্রতিবেশী, শ্যামবর্ণের বাঙাল। আমার ছেলেবেলাও লাটিম, বর্শি, কলার ভেলাময়। আম-জামের ডালে দস্যিপনাময়। পহেলা বৈশাখের মেলায় মিলেছি, একুশে ফেব্রুয়ারীর ভোরে তোরণে ফুল দিয়েছি, শবে বরাতের সন্ধেয় হালুয়া-রুটি খেয়েছি, বিলিয়েছি প্রতিবেশীর থালে থালে। আমার ছেলেবেলায় বেজী ছিলো, বড় গাছ ছিলো, ছিলো সেসব গাছ বেয়ে নামা শিকড়। ওতে দুল খেয়ে নিজেকে টারজান ভাবার স্বপ্নে বিভোর হয়েছি।
২০২০ সালে এমন ছেলেবেলা কল্পনা করা যায় না। অবশ্য আমি জানি না গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা এখনও এত ভাগ্যবান কিনা।
মফস্বলে বড় হয়েছি। অবশ্য মফস্বল এখন আর মফস্বল নেই। তবু উঠানের মাচায় ধুন্দল আর চালকুমড়োর ডগায় কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পাই। দু-একটা আম-কাঠাল গাছ এখনও আছে।
সে যাই হোক। হাইভ.ব্লগে বাংলা কমুনিটির এত উন্নতি দেখে আমি অবাক হয়েছি আসলে, যেখানে অন্যান্য দেশের কমুনিটি বা এমনকি প্রতিবেশী দেশেরও নেই। নিশ্চই একদল ডেডিকেটেড টেকি বাঙ্গাল শুরু করার কাজটা করেছেন এবং এই অব্দি টেনে এনেছেন। তাঁদের অভিবাদন জানাই।
২০১০-এর দিকে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার যখনও স্তিমিত হয়নি, তখন সামহোয়ারইন, আমারব্লগ, নাগরিকব্লগ ও চতুর্মাত্রিকে আনাগোণা করেছি। সঙ্গত কারণেই নিক প্রকাশ করছি না।
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতাম তখন, ইন্টারনেটের মানুষেরা কী দারুণ সব লিখতেন। তাঁদের লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এর ভেতর অনেকেই বর্তমানে লেখক বনেছেন, একুশে বই মেলায় প্রকাশও করেন। আর অনেকে গিয়েছে হারিয়ে।
আমি আশায় বুক বাধছি, হাইভের বিডিকমুনিটির ব্লগারদের লেখাও আগ্রহভরে পড়ে বিমোহিত হবো।
লেখালেখির দুনিয়ায় আমি যে একদম
অর্বাচীন তা অবশ্য নয়। ইচ্ছে আছে বই, সিনেমা, গান নিয়ে লেখার।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন আর করোনার সময়কালে আপাতত ঘরেই থাকুন।
আপনার ব্লগের অপেক্ষায় থাকবো। ভালো লাগলো আপনার লেখা।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।