চলুন ঘুরে আসি মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘর থেকে!
বন্ধুরা,
শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি।হ্যা বন্ধুরা আমি মাওলানা ভাসানীর কথা বলতেছি।শুধু মাওলানা ভাসানী বললে ভুল হবে।বলতে হবে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।বন্ধুরা আপনারা সবাই নিশ্চয়ই মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সম্পর্কে অবগত আছেন।মাওলানা ভাসানী সম্পর্কে অবগত নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
বন্ধুরা আমি আজ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘর দেখতে গিয়েছিলাম।মাওলানা ভাসানীর মাজার ও জাদুঘর আমাদের টাংগাইল জেলায় অবস্থিত।আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমি মহান এই ব্যক্তির মাজার শরীফ এ জাদুঘর ভ্রমণে গিয়েছিলাম।মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘরে গিয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছি, ভিডিও করেছি।যা আমি আপনাদের মাঝে এখানে শেয়ার করলাম।ছবিতে আপনারা মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ জাদুঘর দেখতে পাচ্ছেন।
চলুন প্রথমে ছোট করে মাওলানা ভাসানীর পরিচয় জানি,
পুরো নামঃ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।তিনি ছিলেন গরিবের বন্ধু, গরীবের নেতা, তাই তাকে বলা হয় মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ই ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।তবে তার পুরো রাজনৈতিক জীবন এবং মৃত্যু পর্যন্ত টাঙ্গাইলের সন্তোষে কেটেছে।তিন ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।তিনি ছিলেন মহান এক ব্যক্তি, স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিত্বদের একজন।তিনি সারাটা জীবন গরিবের জন্য লড়েছেন, গরিবের জন্য রাজনীতি করেছেন।
তাকে বলা হতো বিশ্বমানবতার এক নেতা।বাংলাদেশের ইতিহাসে তার মত নেতা হয়তো আর আসবেনা।তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।টাঙ্গাইলের সন্তোষে গেলে এখনও শোনা যায় তার বাণী।
চলুন আমাদের টাংগাইল জেলার সন্তোষ থেকে ঘুরে আসি।যেখানে রয়েছে মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘর।
ভিডিও🖕
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই টাঙ্গাইলের সন্তোষে এসেছেন।কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেটাঙ্গাইলের সন্তোষে অনেক লোক আসে মাওলানা ভাসানীর জাদুঘর ও মাজার শরীফ দেখতে।টাঙ্গাইলের এই সন্তোষের মাটিতেই ঘুমিয়ে আছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
আজ সকালে আমি মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘরে গিয়েছিলাম।সেখানে আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি।মহান এই ব্যক্তির মাজারে গিয়ে আমার খুব ভালো লাগছিল।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমি রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি।একটু পরেই ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘর।
এরপর মাজার শরীফ এ জাদুঘরে ঢোকার আগে দুটো গেট মাওলানা ভাসানীর নামে।ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মাওলানা ভাসানীর নামে গেইটে কিছু লেখা রয়েছে।
এরপর প্রধান ফটকে আসলাম আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন লেখা রয়েছে মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘর।এরপর প্রধান ফটক দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম।
সরাসরি চলে গেলাম মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফে।দেখতে পাচ্ছেন মাজার শরীফের ভিতরের দৃশ্য।
এখানে ছোট একটি কক্ষ রয়েছে এই কক্ষে বসে মাওলানা ভাসানী ইবাদত করতেন।
দেখতে পাচ্ছেন মাওলানা ভাসানীর মাজার। এখানেই ঘুমিয়ে আছে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
দেখতে পাচ্ছেন একটি কুঁড়েঘর, এই সেই কুঁড়েঘর। সনের এই কুঁড়েঘরে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী থাকতেন।আজো এই ঘরটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া পরে আরো কিছু ছবি দেখতে পাচ্ছেন মাওলানা ভাসানীর জাদুঘর এখানে অনেক কিছু লেখা রয়েছে।যেগুলো মাওলানা ভাসানীর নিজের মুখের কথা, বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন।সেগুলো এখানে লেখা হয়েছে।এখানে লেখা প্রতিটি কথাই অত্যন্ত মূল্যবান আমি এখানে লেখা গুলোর ছবি শেয়ার করেছি।আমি হেঁটে হেঁটে এই লেখাগুলো পড়েছি🖕।
এরপর জাদুঘরের বাইরে আসলাম।জাদুঘরের বাইরে অনেক গাছ রয়েছে।এখানকার অনেক গাছ আছে যা মাওলানা ভাসানী নিজের হাতে লাগিয়েছিলেন।এখনো সেই গাছগুলো রয়েছে। গাছগুলোর মধ্যে অনেক মূল্যবান মূল্যবান কথা লিখে রাখা হয়েছে।যে কথাগুলো মাওলানা ভাসানী বলে গেছেন।
এই একটি বটগাছ দেখতে পাচ্ছেন এটি মাওলানা ভাসানীর নিজের হাতে লাগানো।
এছাড়া আরো কিছু ছবি তুলেছিলাম।সমস্ত ছবি আমি এখানে শেয়ার করেছি।ছবিগুলোতে রয়েছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নিদর্শন, রেখে যাওয়া নিদর্শন ও বিভিন্ন স্মৃতি।আমি প্রায় দুই ঘণ্টা মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘরের ভিতর ছিলাম।
মহান এই ব্যক্তির মাজার শরীফ ও জাদুঘর দেখতে গিয়ে বেশ ভালো লাগছিল।তার রেখে যাওয়া অনেক নিদর্শন দেখতে পেলাম।তার মুখের কথাগুলো পড়ছিলাম, সেই লেখা গুলো সত্যিই মূল্যবান ছিল।সেগুলো পড়তে আমার খুব ভালো লাগছিল।তাই সেগুলোর ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।এছাড়া আমি সেখানে একটি ভিডিও তৈরি করেছিলাম।ভিডিওটি আপনাদের মাঝে এখানে শেয়ার করলাম।ভিডিওতে আপনারা মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফটি দেখে নিতে পারেন।
আপনারা আমাদের টাংগাইল জেলায় আসলে মাওলানা ভাসানীর মাজার শরীফ ও জাদুঘর ঘুরে যেতে পারেন খুব ভালো লাগবে।সন্তোষ টাঙ্গাইল শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
পুরো ঠিকানা,
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার ও জাদুঘর।সন্তোষ টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ।
মাওনা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর কবরস্থানের এবং জাদুঘরে বিভিন্ন ছবি দেখে ভাল লাগলো। টাংগাইল বাইপাশ দিয়ে রেগুলার যাওয়া-আসা করা হয়। কোনদিন সুযোগ মিললে হয়ত ঢু মারা যাবে ইনশাআল্লাহ।
মাজার শরীফে মনে হচ্ছে দুইটা কবর। আরেকটা কার?
মাওলানার জন্মসন মনে হচ্ছে ভূল লেখা আছে। সংশোধন করে নিয়েন।
ইতিহাস ভিত্তিক সুন্দর একটা লেখা।
আল্লাহ মাওলানা সাহেবকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।
ধন্যবাদ ভাই।
মাওলানা ভাসানীর জন্ম ১৮৮০ সালে।১৮ এর জায়গায় ভুল করে ১৯ হয়ে গিয়েছিল।