সুশিক্ষা সবারই দরকার
আনোয়ার মিয়া পানের পিক ফেলতে ফেলতে মেম্বারের চোদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে আর বলে রাস্তাটা আর একটু বড়ো করলে কী সমস্যা হতো বলো দেখি কালু মিয়া? কালু মিয়া সদাই-পাতি মাপতে গিয়ে একটু কম ধরিয়ে দিয়ে আনোয়ারকে বলে, রাস্তা বড়ো করতে তো তোমরা দিলানা তখন এক হাত জায়গায় ও ছাড়ো নাই আর এখন মেম্বারকে জ্ঞান দিচ্ছো সাথে তো আবার গালি গালাজ ফ্রী!
মাপের কম তো আর দেখেনা আনেয়ার মিয়া, তাই যুক্তি খুঁজে কীভাবে কালু ব্যাপারিকে জব্দ করা যায় মুহুর্তে পানের পিকের কথা মনে পড়ে আনোয়ার মিয়া,
এইযে তুমি, আমি একহাত জায়গা দিইনি তাইবলে আমিতো আর তোমার মতো যেখানে সেখানে পানের পিক ফেলে পরিবেশ দূষণ করতেছিনা।
খুবতো পরিবেশ পরিবেশ করছেন, আমরা নাহয় অশিক্ষিত মানুষ, কোন রকম আট ক্লাস পাশ দিছি, আমাগো আর পরিবেশ কী? শুনো ক্লাস বা ডিগ্রি কোন বিষয় নয়, বিষয় টা হলো শিক্ষিত আর সুশিক্ষার, রহিমের চা দোকান থেকে উত্তর দে মসজিদের ইমাম। হ, ইমাম সাব ঠিকই বলছেন। ইমামাকে সমর্থন দে করিম মহাজন, যার এতে পতি পত্তির মূলে হলে সুদের কারবার। ইমাম সাব জেনে ও চুপ থাকেন, কারণ প্রতিমাসে ওনি যে বাড়তি টাকাটা পান, তা ঐ করিম মহাজনই দে। এর সাথে ভালোমন্দ খাবার। ঈদে চান্দে তো পোয়াবারো অবস্থা।
করিম চিন্তা করে ইমামকে কিছু টাকা দিলে তার সুদের ব্যবসায় হালাল হয়ে যাবে, আর ওদিকে ইমাম মনে করে ওর তে কোন দোষ নেই যতো দোষ নন্দ ঘোষের!
জামাল সাহেব এলাকার কোটিপতি, এলাকায় তার অনেক সুনাম। তিনি জেমন উচ্চ শিক্ষিত আবার শিল্পপতিও। ভদ্রলোক সাংসদ হওয়ার জন্য টাকা পয়সা খরচ করে নমিনেশন জোগাড় করে পেলে। সামনে নির্বাচন ওনি জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন, ওনাকে নির্বাচিত করলে এলাকয় কোন জলাবদ্ধতা থাকবেনা, পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় এমন কাজ ওনি করতে দিবেন না ইত্যাদি। অথচ ওনার নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্যামিকেলের মাধ্যমে প্রতিদিন নদনদী দূষিত হচ্ছে।
অনেকদিন পর দুই বন্ধু লিটন আর ফুটনের দেখা, একজন ডাক্তার আরেকজন উকিল। দুই জন গল্প করতেছে লিটনের চেম্বারে। ডাক্তার লিটন উকিল বন্ধুকপ জিজ্ঞেস করতেছে, তোরা কেনো অপরাধীর পক্ষে উকালতি করিস? শুন অপরাধীর পক্ষে ওকালতি করলে ভালে টাকা পাওয়া যায়, আর শুন আইনে প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ ই অপরাধী নয়!! তা বুঝছি। খুবতো ন্যায় কথা বলছিস, তুই কেনো অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে রোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেছ? মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আইসিইউ নিয়ে বানিজ্য করিস?
জ্যামের অযুহাত দেখিয়ে বেআইনি ভাবে উল্টো পথে গাড়িটা ডুকেয়ে মনের সুখে হয়তো সরকার সিস্টেমের দোষ খুঁজে মরছি।
করোনার কালে একজন আরেক জনকে বলছে, আপনি মাস্ক পড়েন না কেনো? জবাবে আরেকজন মাস্কটি থুতনিতে জড়িয়ে বললো, আপনিও তো পড়েন নাই!
উপরে উল্লেখিত ঘটনা আমাদের দেশের নিত্যনৈমেত্তিক ঘটে আসছে, আসলে আমাদের সবারই সুশিক্ষা দরকার।
Source Pixabay
Hi @ihfaisal, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @simplifylife!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Congratulations @ihfaisal! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your board And compare to others on the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Do not miss the last post from @hivebuzz:
অন্যের দোষ খুঁজতে খুঁজতে আমরা হয়রান। নিজের দোষ কেউই দেখি না। এটা মানব জাতির ধর্ম। নিজের পিঠ তো নিজে সহজে দেখতে পায় না কেউ।
মানুষ এমনই তবে মানুষ না বলে বাংলাদেশী বললে ভালো হয়।
হে, ঠিক বলেছেন ভাই। আমরা আঙ্গুল তুলি কেবল অন্যের দিকে। বাস্তবসম্মত লিখা হয়েছে। ভাই বানানগুলো একটু খেয়াল করিয়েন। একবার পুনঃচেক করলেই দেখতে পারবেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামতের জন্য, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এমন হলে ভাই, পরবর্তী সময়ে এমন আর হবেনা।
সমাজের বাস্তব চিত্র
সমাজ প্রতিনিয়ত আমাদের ভাবায়
ভাই লেখাটা রম্যরচনা হলে আরো বেজায় হতো 😁
মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই, পরবর্তী সময়ে দেখি পারি কিনা লিখতে