দু,মুঠো চাল
আজ শনিবার বাংলা ২৩ শে শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। রাজা শশাঙ্ক প্রথম এই বঙ্গাব্দ শব্দ টির প্রচলন ঘটান। ঋকঋকে সুন্দর সোনালি সকাল, পরিষ্কার আাকাশ গাছের পাতার ফাক দিয়ে একটু খানি আলোর ঝলকানির মধ্য দিয়ে দিনের শুরুটা হয়েছিল।
কর্মঠ ব্যাক্তি গুলোর পদচারনায় মুখর ডাঙ্গা। ২ দিন অবিরাম বৃষ্টির পশ্চাতে বাংলার কৃষানের ভোরের আলোয় ছুটে আলো নিজ জমির দিকে। পা চলচে খুবই দ্রুত কারন যেতে হবে যে বহু দুর প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার। সকালের মিষ্টি রোদ টা আস্তে আস্তে তীব্র হতে শুরু করেছে। শহুরে লোকেদের চলাচল এর জন্য রিকশা বা প্রাইভেট কার থাকতে পারে তবে এ কৃষানের যে দুটি পা ই চলার এক মাত্র সম্বল এ ডাকায় এটা নেহাত মিছে নয়!দিন রাত গা এর রক্ত পানি করে এ কৃষকের একটি ই প্রত্যাশা নদীর পানি ডাঙায় আশার আগে যেন লক্ষী কে ঘরে নিতে পারি,এখানে লক্ষী হল দুমুঠো কৃষকের দুবেলার দুমুঠো খাওয়ার চাল ও বিক্রির চাল।
সকাল সকাল ধানের এ রূপ দেখে কৃষানের যে মনে আনন্দ, প্রত্যাশার জোয়ার বইছিল তা হয়ত বুঋতে কারোই বাকি নেই। জমি তে আটকে থাকা পানি নল কেটে বের করে দিয়ে, শুরু হল কাজ জমি নিড়ানোর। বলে রাখা ভাল যে, এখানে নিড়ানো বলতে বোঋানো হচ্ছে যে ধানের গোড়া থেকে ঘাস আগাছা এ সব পরিষ্কার করা। সময় হোল ঋোলা খোলার ছোট্ট একটি ঋোলায় করে বয়ে আনা ভাত এবং নদী তে জাল ছড়িয়ে ধরা মাছ এর তরকারি দিয়েই তৃপ্তি সহকারে খাবার এর পর্বটা শেষ হল।তবে যে সকল মানুষ গ্রিল কাবাব, চিকেন, পছন্দ করেন তাদের কাছে সর্বোপরি অনুরোধ তারা কখন এখানে আসবেন না কারন আপনারা সয্য ক্ষমতায় কুলোবে না।দুপুরের ঠাটা পড়া রোদ্দুর যখন শহুরে লোক গুলো ঠান্ডা এসির বাতসে নিজেকে শান্তনা দিচ্ছে ঠিক তখনি মাথায় একটি গামছা বেধে হাত চালিয়ে যাচ্ছে এ চাষী।এমন কর্ম দেখে রাজীয়া খাতুনের কাব্যর এই চরন গুলো মনে পড়ে যায়ঃ-
রৌদ্র দাহে শুকায় তনু, মেঘের জলে ভিজে।
আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।
সন্ধ্যা নমল কৃষকের কর্ম ও শেষ হল সেই দুই তিন ক্রোশ পথ চলার পর বড়ির ছত্রে পৌছ গেল। ছোট্ট কৃষানের ছোট্ট মেয়েটা গামছা নিয়ে আসল বাবার সেবায় সে পূর্ন মনোযোগী ছাত্রী। কথায় কথায় সে বাবা কে প্রশ্ন করে বসল আমগো ধান কবে কাটবা বাজান.?কৃষান এর উত্তর ছিল কাটমুরে মা কাটমু কয়ড়া দিন সবুর কর। মেয়ে বাজান তাড়াতাড়ি কাইটা আনো নতুন চাল এর ভাত খামু।
রাত হলো কিন্ত শুভরাত্রি হয়ত ছিল না, ভারতের ফারাক্কা বাধের ছেড়ে দেওয়া পানি এবং অঋরে নামা বর্ষা যে কৃষকের মনে আতংকের সঞ্চার করল।হঠাৎ ই বেজে উঠল মসজিদর মাইক নদী ভাঙ্গন লাগছে বন্যায় তলায় যাইতেছে সব সবাই আশ্রয় কেন্দ্র উঠুন তাড়াতাড়ি।
নিষ্ঠুরতার এ পর্যায় খুকুমনির নতুন চালের ভাত খাওয়া আর সম্ভব হল না। পরিবেশ তার নিষ্ঠুর কুঠার দিয়ে হয়ত গরিবকেই কুপিয়ে পরীক্ষা করে যে সে কতটা কষ্ট সয্য করতে পারে।
Who am I?
My nme is Faysal. I am citizen of Bangladesh . I am aslo a photographer . I love travelers very much and love to serve them.Anyone can contact me
you can contact me on discord user nme @faysal72#4722
All pictures are taken by me
Hi there
Your post is pretty much eye pleasing . But as a well-wisher, I want to add a comment on your blog. When you write 'informal writings" you have the authority to put engaging words . Try to play with your words ; and help others to play along with you too.
tnx mama for your comment.Next time I must try to follow your advice.
Hi @faysal72, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON