উজ্জলতার প্রতি লোভ!

avatar

আজকে বাইরের আবহাওয়া খুব মেঘলা। চারিপাশে কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে। সন্ধ্যে নামার পথে তিনি নতুন গাড়ি চালিয়ে দেখছিলেন। তার নিজের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি ছিল তখন। তিনি তার স্ত্রীর সাথে, পুরনো গাড়ি মেরামত করার কথা বলছিল। তিনি নিজের নতুন গাড়ি যেখান থেকে যাচাই করে এনেছেন, সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি তার স্ত্রীকে বোঝালেন সেখানে খুব ভালো পরিষেবা দেয়া হয়। সেখানে যারা কাজ করে খুবই ভালভাবে কাজ করেন। সেখানে মেরামত করার জন্য অনেক দক্ষ কারিগর রাখা হয়েছে।

তার স্ত্রী খেয়াল করলেন একই কাজের মূল্যায়নের ব্যাপক পার্থক্য রাখা হচ্ছে । তিনি যা দেখে কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলেন। যার কারণে তিনি তার পরিচিত দোকানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । সেখানে তিনি মেরামতের জন্য খুব সস্তায় সার্ভিসটি পেয়েছিল। তিনি দোকানটি সম্পর্কে জানার আগ্রহ পোষণ করেন । এবং তিনি জানতে পারেন খুব ঐতিহ্যগত পরিষেবা এখানে দেওয়া হয়। প্রথমে এখানে একটি ভাড়া করা জায়গা গ্যারেজের জন্য নেয়া হয়েছিল। প্রত্যাশিতভাবে তারা এখন এই গ্যারেজের মালিক। তার স্ত্রী বললেন, আমি আপনাদের আপ্যায়নে বেশ খুশি হয়েছি।

যদিও তার স্ত্রী দুটি কর্মসংস্থানের পার্থক্য দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন। কারন একই পরিষেবায় খরচের পার্থক্য ব্যাপক ছিল। তিনি দোকানের মালিক কে ডেকে বললেন, এমন কর্মসংস্থান আদর্শ হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে এর থেকেই আমাদের দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে। তিনি নিজেও একজন ব্যবসায়ী। তিনি ছোটবেলা থেকেই একজন উদ্যোক্তা পরিবারে বড় হয়েছে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে। তিনি উপলব্ধি করতে পারেন বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোর ভাঙ্গা সেতু গুলোকে। ‌ উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ও অনিশ্চয়তার সাথে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এটা স্থিতিশীলতা এবং স্থিতিশীল প্রবাহের জন্য নির্মিত করা প্রয়োজন।

তিনি বুঝতে পারলেন এই গ্যারেজ তৈরি করা হয়েছে আদর্শ থেকে। ভবিষ্যতে অগ্রসর হওয়ার জন্য। তিনি ভাবছেন , যে লোকটি একদিন এখানে চাকরিরত অবস্থায় ছিল, সে আজকে এখানের মালিক। তার আন্ডারে অনেকগুলো শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছে। এটা তার জন্য একটি স্বল্প মেয়াদী কর্মসংস্থান হলেও, তিনি এটি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারিভাবে চাকরির বাজার বেশ কঠিন । যার কারণে সরকার সবাইকে সুবিধা দিতে পারছে না। কিন্তু প্রযুক্তি খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে । অটোমেশন, অ্যাপ্লিকেশন এবং যোগাযোগ এমন অনেক কিছুই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে ইয়াং জেনারেশন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছে।

কোন নতুন প্রযুক্তি তৈরি হয় বেশ কঠিন। আমরা জানি যে কোন দেশের সরকার বেশ ধীর গতিতে চলে। যখনই কোন নতুন প্রযুক্তির কথা শোনা যায় সেটা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনার তৈরি হয়। সরকারিভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এবং প্রযুক্তিটি কতটা উন্নয়ন করবে? সেটার জন্য এক ধরনের যুদ্ধ তৈরি হয়। এই কারণে চারিপাশে সরকার থেকে নানা ধরনের স্পষ্ট আইন তৈরি করে দেয়া হয়। যেহেতু সরকার নিজেরাই প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠন, যার কারণেই তারা ধীর গতিতে চলে। পরিবেশ থেকে যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেভাবে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পায়না। তিনি মনে করেন, এর একটি অংশ হল প্রাথমিকভাবে গ্রহণকারীরা। যারা সাধারণত নিজেরাই স্বায়ত্তশাসিত হয়। তাই নিজের কিছু ঠিক আছে বলার জন্য আইনের উপর নির্ভর করবেন না।

তিনি কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টো সম্পর্কে একটি নিউজ পড়েছিলেন। যেখানে ক্রিপ্টোর কর সম্পর্কে একটি নিবন্ধন পোস্ট করা হয় । একজন ব্যক্তিকে ভাবতে হয় যদি সরকারগুলি ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। তাহলে কেন তারা ইতিমধ্যেই সাধারণ ফর্ম গুলো চালু করেন। যা ইতিমধ্যেই আয়ের একটি ক্ষুদ্র বৈশিষ্ট্যের সাথে জড়িত আছে। তিনি জানেন এই ক্ষেত্রে নানা ধরনের মানুষের নানা ধরনের যুক্তি আসতে পারে।

তিনি এটা জানেন ক্রিপ্টো দুনিয়াটা এতটাই বিশাল যেটা কোথাও যাচ্ছে না। সম্ভবত তারা বিভিন্ন দেশগুলোতে কর্মচারীদের জন্য ক্রিকেটকে বৈধ করার চেষ্টা করছে। অর্থ প্রদানের পদক্ষেপের দ্বারা আরো ধাক্কা দিয়েছে।

যদিও তিনি তার এলাকার কোন বিশেষজ্ঞ নয়। তিনি আরও অনুমান করেন, বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টো প্রভাব ফেলবে, এটি বিরক্ত করবে না, সবার জন্য এটি বৈধ হবে । এটা ইন্টারনেট এর মতই । পেশাদাররা অনেক বেশি সুবিধা পাবে এবং যারা পিছিয়ে ছিল তারা আরো পিছিয়ে পড়বে। যারা প্রযুক্তি থেকে উপকৃত হতে চায় এবং বিশ্বাস করে যে তারা তাদের নিজেদেরকে দক্ষ হিসেবে ব্যবহার করবে। যেভাবে তারা ইন্টারনেট কে হাতের মুঠোয় আনার চেষ্টা করছে।

তিনি অনেক ধরনের অনলাইন পরিষেবা গ্রহণ করছে। ‌ প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ ঘটছে এটাও বুঝতে পারছে। চারিপাশে অনেক আনন্দের অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি, নতুন শিল্প সবকিছুই হচ্ছে। কিন্তু অপর পাশে একটি মাফিয়া দল তৈরি হতে যাচ্ছে।

নানা দিক থেকে মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে । মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে অনলাইনের দুনিয়ায় ধীরে ধীরে আটকে রাখা হচ্ছে। এর সারা ব্যাপকভাবে সব দিকে ছড়িয়ে পড়ছে । যা দিন দিন এর মূল্য কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই কোনভাবে নিশ্চিত নয় কিন্তু এর ভবিষ্যতে কোন দিকে যাবে। এবং সরকারগুলো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার সুযোগ পাওয়ার চেষ্টায় আছেন।

যদি এমন অগ্রসর দ্রুতগতিতে ঘটতে যাচ্ছে না, আবার ব্যথাহীন ভাবেও নয়। এইচএস সিস্টেমগুলো নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে মূল্য প্রদান করছে এবং ছড়িয়ে যাচ্ছে তাদের অন্তর্নির্মিত শাসন ব্যবস্থা রয়েছে যা বিশ্ববাসীকে কোন বড় পরিমাণে অপ্রয়োজনীয়' করে তুলতে পারে।

তিনি ছোট ছোট পরিসরের কথা চিন্তা করছেন ।যেখানে তিনি তার গাড়ি মেরামত করেছিলেন। তারা অনলাইন দুনিয়া থেকে অনেকটাই দূরে। তাদের জন্য হয়তো নতুন নতুন কোন নিয়ম কানুন তৈরি করা হয়। তারা চেষ্টা করছে একটা সময় সাধারণ মানুষের মতোই অজ্ঞ হওয়া, কিন্তু বাস্তবতা কি সেটা আমরা সবাই জানি।

লোভ সর্বদা নিজেকে হারিয়ে ফেলে।

IMG_20211113_120951.jpg



0
0
0.000
1 comments