নারী নির্যাতন আর কতদিন ?!

avatar

নারী : সে মা
নারী : সে কন্যা
নারী : সে গৃহলক্ষী

সব মানলাম ! নারী : সেও তো মানুষ ..এই কথাটা মানবোনা ?! সকল কিছুর উপরে যে মনুষ্যত্ব তা ভুলে গেলে চলবে ?! চলবেনা ! তবুও আমরা ভুলে যাই ৷ নারীও যে মানুষ আমরা তা ভুলে যাই আর আমরাও যে মানুষ তাও আমরা ভুলে যাই !!

আমি বলবোনা মানুষ পশুর ন্যায় হয়ে যায় , কারণ পশুর ক্ষতি না করলে পশুও মানুষের ক্ষতি করেনা ৷ কিন্তু আমরা করি , আমরা মানুষরা করি ৷ নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের আচরণও অনেকটা এমনই !

পুরুষ চায় অধিকার , চায় দাবিয়ে রাখতে পারবে এমন এক স্বত্ত্বা ৷ অধিকার থেকে মানেই যে অন্যের স্বাধীনতা হরণ করা না , এই কথাটা তারা ভুলে যায় ৷ তারা চায় বউ রূপী দাসী ৷

IMG_20210607_213158.jpg
বিয়ের পর যৌতুকের জন্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার নতুন নয় । বউকে বেদম পিটিয়ে কিছু পুরুষ রূপী অমানুষ পাশবিক আনন্দ পায় । তার বউও যে কারও মেয়ে সে ভুলে যায় ।

যেই ঘরের ছেলে সন্তান ছোট থেকে বড় হয়েছে মা কে বাবার হাতে মার খেয়ে চুপ থাকতে , মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে , ওই ছেলের কাছে নারী কিংবা বউকে পেটানো যে স্বাভাবিক মনে হবে তা আর নতুন কী ?!

যে ঘরের মেয়ে , তার মাকে সবসময় বাবার মাইর খেতে দেখেছে , গালাগালি শুনেছে , ওই মেয়ের মনে পুরুষ জাতির উপরে ঘৃণা জন্মাবে এটাই কী স্বাভাবিক নয় ?!

কিছু পুরুষ তথাকথিত স্বামী হতে গিয়ে অমানুষ হয়ে যায় ! তারা ভুলে যায় তার বউ একটা মানুষ ,সে তার পরিবার ফেলে তার কাছে এসেছে অত্যাচার সহ্য করতে না ! ভালোবাসা না হোক একটুখানি ভালো ব্যবহারের তো সে প্রাপ্য ,তাইনা ?!

আজকাল অনেকেই বলে আমি বিয়ে করবোনা , একা থাকবো , শান্তিতে থাকবো ! কেনো বলে ?! ঘরে বাবা মা ঝগড়া করছে , বাবা মায়ের শরীরে আঘাত করছে তা দেখে দেখেই বড় হয়েছে সে ! এই ঘটনার কারণই কী পর্যাপ্ত না বিয়েতে তিক্ততা আসার জন্য ?!

নারীকে পিটিয়েই যেসব স্বামী নামের অমানুষগুলো সুখ পায় তারা আর যাই হোক , মানুষ না ! যেই রক্তের জোরে তারা নারীর গায়ে হাত তুলে ওই রক্ত প্রতি মাসে নারীরা কাগজে মুড়ে ফলিয়ে দেয় ।

নারী শক্তিশালী । সে তার ভিতরে একটা নতুন প্রাণের বৃদ্ধি ঘটায় । তারা দুর্বল না , তারা মৃত্যু ভয় কাটিয়ে সন্তান জন্ম দেয় । আর তেমনই কোনও শক্তিশালী নারীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয় কিছু অমানুষ ! যারা নারীর গায়ে আঘাত করে শান্তি পায় ! নারীর গায়ে ক্ষত তৈরী করে পাশবিক আনন্দ পায় !

যতটা দুর্বল ভাবে নারী ততটা দুর্বল নয় , নারীর সহ্য ক্ষমতা বেশী , তাই তারা অমানুষ রূপীদের স্বামী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ! যেদিন নারীর সহ্যের বাঁধ ভাঙবে , সেইদিন এই অমানুষগুলো হয়তো পালিয়েও ঠাঁই পাবেনা !

আর খুব শীঘ্রই হয়তো জেগে উঠবে সত্যিকারে নির্যাতিত নারী শক্তি , বিলীন হবে অমানুষ রূপী পুরুষ স্বত্বা !

আজকের মতন বিদায় নিচ্ছি , আমার আজকের লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ , আশা করছি ভালো থাকবেন ৷



0
0
0.000
2 comments