ফ্লাট নং ১৪ (দ্বিতীয় পর্ব)

avatar

একজন মানুষ নতুন একটি ফ্ল্যাটে উঠলো কিন্তু উঠার সাথে সাথেই প্যারানরমাল এক্টিভিটি এর শিকার হলো। ব্যাপারটা কেমন না ? রূপক সাহেব এ কয়দিনে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তার মনে হচ্ছে হরর মুভি দেখলেও এতটা ভয় লাগবে না,এখন নিজের জীবন নিয়ে যতটা ভয় হচ্ছে। বাসায় আসার থেকে বাইরে থাকতেই তার বেশি এখন স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়। কিন্তু দিনশেষে সবাইকে বাসায় আসতে হয়।

বিড়ালের কাহিনীর পর আবার এক রাতের বেলা তার ঘুম ভাঙলো তবে এবার বিড়ালের ডাকে নয় কুকুরের ডাকে। রাত তিনটার সময় এত জোরে কুকুর কেন ডাকছে উনি কোনভাবে হিসেবে মেলাতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে রুমে লাইট জ্বালিয়ে জানালার কাছে গেলেন দেখার জন্য যে বাইরে আসলে কি হয়েছে। জানালা খুলে কোন কুকুর দেখতে পেলেন না। প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে জানালা বন্ধ করবে ঠিক ওই মুহূর্তে জানালার উপর সানসেট থেকে হুট করে লম্বা চুল ওয়ালা একটি মাথা উল্টো হয়ে তার দিকে নামলো। চেহারাটা এতটা বিভচ্ছ ছিল যে সাথে সাথে রূপক সাহেব জ্ঞান হারালেন। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর দেখলেন আবার, তিনি মেঝেতে নয় বিছানাতে আছেন। তবে অবাক জনক বিষয় হচ্ছে তার জানালা খোলা। কারণ উনি সবসময় ঘুমানোর আগে দরজা জানলা সব বন্ধ করে তারপর ঘুমাতে যান।

দিন দিন প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে রূপক সাহেব আর কোনভাবে ভাবতেই পারছে না কিভাবে এ বাসায় তিনি থাকবেন। তবে তার মাথায় এটাও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে যে কেন হচ্ছে? কেন তার সাথে বারবার এরকমটা হচ্ছে? তিনি পরে ভাবলেন যে অফিস শেষ করে ফ্রি টাইমে তিনি এই ফ্ল্যাটের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করবেন। জানার চেষ্টা করবেন যে কেন এমনটা বারবার হচ্ছে? আর কেন তাকে এত কম টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাট দেওয়া হল?

প্ল্যান মত বাড়ির আশেপাশে চারদিকে যেভাবে সম্ভব উনি জিজ্ঞাসা করা শুরু করলেন যে এই বিল্ডিং এর রহস্যটা কি। ধীরে ধীরে উনি অনেক কিছুই জানলেন শুনলেন। কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা জানেন না। তবে সব তথ্য মিলিয়ে একটা স্টেটমেন্ট এ দাঁড় করালেন। যতটুক তিনি জানতে পেরেছেন এ পর্যন্ত, এই 14 নম্বর ফ্ল্যাটে আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা এক কম বয়সী মেয়ে ও একজন ২৯ বছর বয়সী লোক ভাড়া নেয়। মেয়েটির বয়স তখন ১৮ বা ১৯ হবে, খুব একটা বাইরের জগতের ব্যাপারে তার আইডিয়া নেই, তাই খুব সহজেই মেয়েটাকে ফাসিয়ে বিয়ে করে এ বাসায় উঠে। ঐ লোকটির নামও সহজে সবাই বলতে পারে না। তবে একজন অনেক কষ্ট করে নামটা মনে করে বলল যে, লোকটার নামটি ছিল ফরিদ। ফরিদের কাজ ই ছিল মেয়েদেরকে ফাঁসিয়ে তাদের সর্বনাশ করা। মেয়েটির নাম কেউ বলতে পারেনা। মেয়েটিকে সবসময় বোরকা পরিয়ে রাখত ফরিদ। যাতে মেয়েটির চেহারা কেউ দেখতে না পারে। আর অন্যদিকে ফরিদ তার খারাপ মতলব শুরু করলো।

এই বিল্ডিংটার এক সময় অনেক নাম-ডাক ছিল। কারণ বেশ পুরনো বিল্ডিং, কিন্তু পুরনো বিল্ডিং হিসাবে বাসা গুলো সুন্দর ছিল। তার উপরে ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম। সব সময় ভালো পরিবার দেখেই বাসা ভাড়া দেওয়া হতো। কিন্তু ফরিদ যখন বাসাটা ভাড়া নেয় তখন বাড়িওয়ালা কিংবা বাড়িওয়ালী কেউই দেশে ছিলেন না। দায়িত্বে ছিলেন এক অসৎ ম্যানেজার। তো ফরিদ ম্যানেজারকে কিছু টাকা বকশিশ দিয়ে বাসাটি ভাড়া নেয় তিন মাসের জন্য। কিন্তু কেউই জানতো না যে কম বয়সী মেয়েটার জীবনে কি আসতে চলছে সামনে।

ফরিদ সব সময় মেয়েদেরকে অমানবিক ভাবে ভোগ করার পর কোন পতিতালয় বিক্রি করে দিত। তবে এবার ফরিদের ইচ্ছা ভিন্ন কিছু করবে। তার ভেতরের যে পশু টা আছে তাকে আরেকটু বেশি এগিয়ে নিবে। এবার সে মেয়েটাকে শুধু ভোগ করে ক্ষ্যান্ত হয়নি। এবার সে মেয়েটাকে টর্চার করা শুরু করে। যতটা জঘন্যভাবে একটা মানুষকে টর্চার করা যায় সবকিছু সে করে। ইচ্ছামত পেটানো শুরু করে পা থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত। পেটানো শেষে তার দুই হাত বেডের দুই কর্নারে বাঁধে। তারপর একটি ছুরি নিয়ে মেয়েটার জায়গায় জায়গায় কাটে। কিন্তু এটা করেও তার শান্তি মেলেনি। পরে তার মাথায় আসলো মেয়েটির বিশেষ জায়গা গুলোতে ছুরি দিয়ে কাটার এবং সে তাই করে। পুরোটা সময় মেয়েটি খালি যন্ত্রনায় ছটফট করে। কিন্তু তার ছটফট কেউ শুনতে পায় না। কারণ তার মুখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ফরিদ এতটাই অমানবিক ছিল মেয়েটাকে যখন কোন জায়গায় এসে কাটতো তারপর আবার সেই জায়গাটা ব্যান্ডেজ করে দিত যাতে মেয়েটি বেঁচে থাকে এবং পরে তাকে আরো বাজে ভাবে আঘাত করা যায়। তার আসলে দরকার ছিল মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখা যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মনের স্বাদ না মেটে। একটা সময় ফরিদ বুঝতে পারে মেয়েটি আর বাঁচবে না। কিন্তু ফরিদ চায়না যে মেয়েটির এভাবে মারা যায়। তাই সবার শেষের মেয়েটির গলা কেটে আলাদা করে ফেলে।

চলবে…..



0
0
0.000
2 comments
avatar

Congratulations @aihtnyc! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):

You distributed more than 200 upvotes.
Your next target is to reach 300 upvotes.

You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP

Check out the last post from @hivebuzz:

Level up your NFTs and continue supporting the victims of war
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
0
0
0.000